স্টাফ রিপোর্টার।। দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভি’র সম্পাদক ও প্রকাশক,ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি,বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি,হবিগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য, নবীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরজুন আক্তার মনি গত ০১/১২/২১ ইং তারিখ নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে থেকে একটি স্ট্যাটাস মাধ্যমে জানিয়েছেন যে,আমি স্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয়েছি আমাকে খুন করার নেপথ্যে নবীগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম ও তার বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনে বিষয়টি চিহ্নিত আছে কি না,তিঁনি আজও জানেন না।ফরজুন আক্তার মনি’র ফেইসবুক স্ট্যাটাস দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভি’র পাঠকদের নিকট হুবহু তুলে ধরা হলো –
আমাকে খুন করার কৌশলের নেপথ্যে কে?প্রশাসনে চিহ্নিত আছে কী না আমি আজও জানি না।
একজন সাংবাদিক সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করে দেশ বা জাতির উপকার করবে,এটাই নিয়ম এবং তাই একজন প্রকৃত সাংবাদিকের কাজ।নবীগঞ্জ উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মকুলের বিরুদ্ধে অতীতে যা ঘটেছিল তার বাস্তব কাহিনী তুলে ধরার চেষ্টা করতে গিয়ে নতুন ভাবে হামলা মামলা ও খুনের চেষ্টাও আমার উপর বারবার করা হয়েছে।তার নেপথ্যে বারবার খুঁজে পাই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম ও তার বাহিনী।বিগত দিনে সাতাইহাল গ্রামের ঘটনা নিয়ে নিউজ করার সাথে সাথেই আমার উপর গত ২০১৯ সালে ঘটে যাওয়া ষড়যন্ত্র মুলুক মামলার ভিকটিম নাজমা বেগমের বিগত মামলার পুরাতন ডকুমেন্টস দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নাজমা বেগমের বাহিনী আজাদ ও মুজিবের নামে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির দুটি মামলা অর্ডার করিয়া আনে।আমি জানতে পেরে অনেক কষ্টের বিনিময়ে সঠিক তথ্য দিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও মন্ত্রণালয় সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অবগত করে তা প্রতিরোধ করেছি।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্ডার করা মামলায় গ্রেফতার করাতে ব্যর্থ হয়ে গত ৫/৭/২১ ও ১৯/৭/২১ ইং তারিখে নাজমা বেগমের স্বামী ও তার লোক আজাদ মুজিব দিয়ে জনশূন্য জায়গায় মটর সাইকেল দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছে।তা মাননীয় আইজিপি সহ মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের অবগত আছে।এবার তৃতীয় ধাপের ইউপি সাধারণ নির্বাচন নিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে লেখালেখি চালিয়েছি।আমার গ্রামের বাড়ি ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নে থাকায় নিজ ইউনিয়ন নিয়ে একটু বেশিই লিখছি।গত ৯ নভেম্বর আমাদের অফিসে নির্বাচনী কাজের ঝামেলা থাকায় অফিস থেকে আসতে রাত অনুমান ১০ টা হয়।আমি রিকশা দিয়ে আমার বাসার রাস্তার মুখে আসতেই সন্ত্রাসী বাহিনী রিকশার পিছনে ধাক্কা দিয়ে একটি গর্তে ফেলে দিয়ে মারা গিয়েছি ভেবে চলে যায়।ঐ রাতেই সালামতপুর এলাকায় ডাকাত চিহ্নিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট গ্রেফতার হয়।
১০ নভেম্বর হবিগঞ্জের বিভিন্ন পত্রিকায় ডাকাতের নিউজ প্রকাশ হয়।এর পর থেকে নাজমা বেগমের তরফ থেকে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে আমার সাথে কথা বলছে, তাও আমি গোপন রেখেছি।২৩ নভেম্বর ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের আব্দুল কাইয়ুম সেলিম আঃলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে মারামারির মারাত্মক জখম নিয়ে লিখলে, আমি তথ্য সংগ্রহ করতে ঐ এলাকায় যোগাযোগ করলে জানতে পারি সম্পূর্ণ মিথ্যে বানোয়াট।তখন আমি বলেছিলাম শুধু -সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে লেখা উচিত।তিনি আমাকে কঠিন ভাবে হুমকি দিয়েছেন।তিনিও নাজমা বেগমের সাপোর্টার।ঐ রাতেই বাংলাদেশে মধ্য রাতে রেড অ্যালার্ট জারির সংবাদ ২৪ নভেম্বর সকালে প্রকাশ হওয়ায়, আমি সাহস করে বাসা থেকে বের হয়ে হবিগঞ্জে গিয়েছিলাম।সেখানে খবর পেলাম নবীগঞ্জ উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মকুল হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।আমিও সেখানে অংশগ্রহণ করেছিলাম।সংবাদ সম্মেলন ৫ টার পর শুরু হওয়ায় রাত হয়।সিএনজি স্টেশনের পাশাপাশি আসতেই এক ড্রাইভার বলে নবীগঞ্জ যাবেন। সিএনজি স্টেশন যেতে ২/৩ মিনিট সময় লাগবে দেখে উনার সিএনজিতে উঠেছিলাম।১৫/২০ পরে মোবাইলে কাকে বলছে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা পাঠান।অন্ধকার জায়গায় সিএনজি থামিয়ে বলে গাড়ির চাকায় বাতাস নেই নামেন।আমি গাড়ি থেকে নেমে মোবাইল বের করতেই আমার হাত থেকে মোবাইল নেওয়ার জন্য টানাটানি করার মধ্যে রেকর্ড অপশন আমার অজান্তেই চালু হয়ে রেকর্ডও হয়েছে এবং কথাবার্তার আওয়াজে লোকজন এসে আমাকে অন্য গাড়িতে উঠিয়ে দেন।নির্বাচনের দিন সাতাইহাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে খবর আসছে ভোটাররা ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে।আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম কালির সমস্যার জন্য জনগণ ভোট দিতে দেরি হচ্ছে।সেখানে প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে কথা বলে সমাধান করার পর নাজমা বেগমের আপন ভাই মুকিদ আমাকে ধাওয়া দিয়ে বলেছে ঘোড়ার মতো পিটিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিবে এবং ৪/৫ জন মানুষ দেখলাম দুহাত ধরে টেনে তাকে নিয়েছে।চোখ মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম নেশাগ্রস্ত মানুষের মতো লাগে, এবং চিন্তা করলাম তার সাথে কথা বলতে গিয়ে সমস্যা হলে নির্বাচন হয়তো স্থগিত হয়ে যাবে,তাই প্রতিবাদ করিনি।এতে স্পষ্ট প্রমাণিত আমাকে খুন করার কৌশলের নেপথ্যে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম।আমি আজও জানি না স্থানীয় প্রশাসন তা চিহ্নিত করে রাখছেন কী না?যারা আমাকে পশুত্বভাব নিয়ে খুন করতে চান,আপনারা কী একবার ভেবেছেন আমি অসুস্থ হলে এমনও মানুষ আছে সাদা শাড়ি পড়ে আমার জীবন আল্লাহর নিকট ভিক্ষা চান?আশা করি বাংলার হৃদয়বান মানুষের হৃদয়ে বিষয়টি গাঁথা থাকবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি