১জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভি’র সম্পাদক ও প্রকাশক,ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি, সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য, নবীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আজীবন সদস্য ও সাবেক আইন সচিব নবীগঞ্জ উপজেলা শাখা,জাতীয় দৈনিক গণমুক্তির নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, দৈনিক আমার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ প্রতিনিধি, দৈনিক বিবিয়ানার স্টাফ রিপোর্টার ফরজুন আক্তার মনি’র নিজস্ব ফেইসবুক আইডি,যাহার প্রোফাইল লিংক https://www.facebook.com/PressMoni121 ও পোস্ট লিংক https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid06LNeTSXy6Zjsx9uftq7Rx7h72z67XckrcHgdiNK4C1AN9Pf1niyfMpaazoRYaVFnl&id=100046285382223 একটি
স্ট্যাটাস মাধ্যমে জানিয়েছিলেন কারাভোগ কিছুটা স্বার্থক মনে হচ্ছে, সেই প্রতিবেদন টি দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভি’র পাঠকদের সামনে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে –
কারাভোগ কিছুটা স্বার্থক মনে হচ্ছে
সাংবাদিক ফরজুন আক্তার মনি
বিশ্বের প্রতিটি দেশেই যার অনুপ্রেরণায় জীবনের সমস্ত ত্যাগ স্বীকার করে যুদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি দেশ কে পরাধীনতা থেকে রক্ষা করে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছেন,তিঁনিই সেই দেশের জাতির জনক।সেই অনুযায়ী আমাদের বাংলাদেশের জাতির জনক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।তাই আজীবন সন্তান হিসাবে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো একজন আদর্শবান সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।শুধু তাই নয় এই সম্মান শ্রদ্ধা ও আদর্শতা নতুন প্রজন্ম কেও শিখিয়ে দেওয়া দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।সেই শিক্ষা ছোটো বেলায় টিভি দেখে নিজে থেকেই শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রেমি হয়ে গিয়েছি।বঙ্গবন্ধু সৈনিক একটি বিষয় এবং বঙ্গবন্ধু প্রেমি আরেক বিষয় আমি মনে করি।প্রেম হলো আত্মার বন্ধন আর সৈনিক হয়তো রাজনৈতিক বন্ধন।যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে অসম্মান ও কটুক্তি করা হয়,আমি প্রতিবাদ জানালে ষড়যন্ত্রে শিকার হয়ে কারাগারে গিয়েছিলাম,তখন বঙ্গবন্ধুর কোনো সৈনিক আমাকে সহযোগিতা করেননি, বরং মামলার বাদী কে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে, আমার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে রেজুলেশন পাস করাও হয়েছে তাও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।এ থেকে অনুমান করছি যে,বঙ্গবন্ধু প্রেমি এক বিষয় আর বঙ্গবন্ধু সৈনিক আরেক বিষয়।আমি বঙ্গবন্ধু প্রেমি,তাই কারো সহযোগিতা পাইনি।তাতে আমার বিন্দু পরিমাণ কষ্ট নেই।একজন প্রেমি কারো সহযোগিতার আশায় প্রেম করে না।তাই একজন প্রেমি তার পছন্দের মানুষের জন্য জীবন দিতেও দ্বিধাবোধ করে না।কিন্তু একজন সৈনিক কখনও জীবন দিতে রাজি থাকবে না।আমি বঙ্গবন্ধু দেখিনি,তবে টিভিতে ছোটো বেলায় ভাষণ শুনে মনে হচ্ছে আজীবন বঙ্গবন্ধুর নিকট ঋণী।তাই সেদিন থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রেমি হয়ে গেলাম।কেউ কোথাও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দিলে,না খেয়ে দাঁড়িয়ে শুনতাম।ভাবতাম বঙ্গবন্ধু কে যদি জীবনে কোনো দিন দেখতে পেতাম,জীবন স্বার্থক হতো।তখন থেকে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে বা বেয়াদবি করলে আমার অনেক কষ্ট হয়।বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিভিন্ন দল আছে,কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সাথে কারো তুলনা নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সবার,কারো একক নন।তাই জুলাই ২০১৯ ইং সালে নবীগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের অফিসে গেলে বঙ্গবন্ধুর ছবি না দেখে মনে অনেক কষ্ট হয়েছিল আমার।তাই ছবি টাঙানোর কথা বললে তিঁনি আমার প্রতি রেগে গিয়ে সম্পর্ক পর্যন্ত নষ্ট করে দৈনিক সমকাল নবীগঞ্জ প্রতিনিধি এম এ আহমেদ আজাদ কে নিয়ে আমাকে অপমান করেছিলেন।তারপর আজাদ তার নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কে কটুক্তি করে লিখেছিল।আমি স্কীনশট দিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম।তাই তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ফেইসবুক মাধ্যমে আমার জন্ম কর্ম নিয়ে নোংরা অশালীন ভাষায় লেখালেখি করলে,আমি নিরুপায় হয়ে আদালতে একটি মানহানীর মামলা দায়ের করেছিলাম। মামলার খবর পেয়ে আমাকে মেরে ফেলার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে।এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানাকে অবগত করতে আসলে,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম অবৈধ শক্তি ব্যবহার করে আমাকে থানায় বসিয়েই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি ষড়যন্ত্র মূলক মামলা আজাদ কে বাদী করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন।আমি হাসি মুখে কারাগারে গিয়েছিলাম।আমি কারাগার থেকে আসার পরও দেখছি ছবি টাঙানো হয়নি।তবে জীবনের মায়া ছেড়ে দিয়ে সেই ছবির আলোচনায় খুবই ব্যস্ত ছিলাম।কিছু দিন পরপর অফিসে গিয়ে তাকিয়ে দেখি আমার প্রিয় নেতার ছবি আছে কি না।আজ নাজমা আপার অফিসে গিয়ে দেখলাম,আমার প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অফিসে আছে।আনন্দে বুকটা ভরে গিয়েছে।আমাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন, আজ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানো দেখে সব কষ্ট ভুলে গিয়েছি।তবে এম এ আহমেদ আজাদ ফেইসবুক মাধ্যমে কটুক্তি করেছিলো,সে এখনও আইনের বাহিরে থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জাল পেলে হামলা মামলা পাশবিক নির্যাতন সহ আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে।যে কোনো সময় আপনার গ্রুপ নিয়ে আমাকে প্রাণে মারতে পারে।জানি না সেখানে নাজমা আপা আপনি যুক্ত আছেন কি না?তবে আপা একজন বাবার সন্তান একাধিক থাকতে পারে।সবাই কে আল্লাহ একই রকম করে সৃষ্টি করেন না।একেক জন একেক রকমের হয়।তবে সব সন্তানেরা বাবা কে সমান ভাবে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হয়।আপনি যে কোনো দলে যোগ দিতে পারেন,সেটা হলো আপনার স্বাধীনতা।কিন্তু সম্মান ও শ্রদ্ধার নিয়ম মেনে চলা আমাদের প্রত্যেকের উচিত।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি