নাজনীন নাবিলা, ঢাকা থেকে।।
ভালোবাসা তো স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করেও হয় না সবসময়। ভালোবাসার সম্মোহনী শক্তি সব প্রতিকূলতাকেই হার মানায়। সমাজের চোখে যা অসংগতিপূর্ণ, প্রেমের ক্ষেত্রে তা খুব সহজেই আশকারা পায়। তারই বাস্তব উদাহরণ ছিলেন মামুন (২২) ও মোছা. খাইরুন নাহার (৪০) দম্পতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছয় মাস প্রেমের সম্পর্কের পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এই যুগল।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুনকে।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে মামুনকে বিয়ে করেন তারা। গত জুলাই মাসে ঘটনা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
সে সময় মামুন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। কে কি বলল, সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মতো সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছি।
কিন্তু বিয়ের মাত্র আট মাস না যেতেই রোববার (১৪ আগস্ট) ভোরে নাটোর শহরের বালারিপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার ফ্ল্যাট থেকে খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মামুন ও খায়রুন নাহার দম্পতি ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
প্রতিবেশীরা জানান, রাত তিনটার দিকে মামুন প্রতিবেশীদের বাসায় গিয়ে দাবি করেন, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেশীরা তার ঘরে গিয়ে দেখতে পান খায়রুন নাহরের নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে শোয়ানো। এতে সন্দেহ হলে মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন তারা।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি