ফরজুন আক্তার মনি(সম্পাদক ও প্রকাশক)॥ নবীগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাসকূপে শিক্ষাগত সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য গোপন ও জালিয়াতি করে চাকুরীর সুবিধা গ্রহণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজটিভি,হবিগঞ্জের সময় পত্রিকা সহ কয়েকটি পত্রিকায় ঘটনার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিবিয়ানা গ্যাসকুপ কতৃপক্ষ সুত্রে জানা যায়,স্বঘোষিত জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক এম এ আহমেদ আজাদের ১ম স্ত্রী শেভরণ কর্মকর্তা সাজিয়া কবির প্রকাশ রুনা কে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন বিবিয়ানা গ্যাসকুপ কতৃপক্ষ।মোছাঃ লায়লা আহমাদ রুনা নিজেকে সাজিয়া কবির সাজিয়ে অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে শেভরণে চাকুরীর সংবাদ হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের প্রতিবাদ লিপিতেও প্রতারণার আশ্রয় নেয়।শেভরন ও স্থানীয় দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়,আজাদের ১ম স্ত্রী মোছাঃ লায়লা আহমাদ রুনার বিরুদ্ধে অভিনব প্রতারণা করে গ্যাস কোম্পানী শেভরনে চাকুরীর সংবাদটি নবীগঞ্জে টক অব দ্যা টাউন।এনিয়ে জেলা উপজেলা জুড়ে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে মোছাঃ লায়লা আহমাদ রুনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন। সংবাদ প্রকাশের পর মোছাঃ লায়লা আহমাদ রুনা নিজেকে সাজিয়া কবির রুনা সাজিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় প্রতিবাদ বিবৃতির মাধ্যমে সাংবাদিকদের হুমকির ইঙ্গিত দিয়ে,উপজেলার ছিট ফরিদপুর গ্রামের ভোটার হলেও সেটা অস্বীকার করে আবারও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।উল্লেখ্য- জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের ছিট ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ লায়লা আহমাদ রুনার জন্ম তারিখ ১৬-০৭-১৯৮৩ইং, ভোটার নং-৩৬০৬০৭৭৩২৫৪৪ এবং জাতীয়পরিচয় পত্র নং ৭৩৪৫৪৭৪৭৭৫৮, শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক।প্রকৃত নাম পরিচয় গোপন ও শিক্ষাগত সনদের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটও জালিয়াতি করেন তিনি।জাতীয় পরিচয়পত্র মোতাবেক স্বামীর পরিচয় গোপন করে নিজেকে সাজিয়া কবির হিসেবে দেখিয়ে ভুয়া শিক্ষাগত সনদপত্র সংগ্রহ করেন।প্রায় ১০/১২ বছর যাবৎ কোম্পানি সহ সকলের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দাপটে চাকুরী চালিয়ে যাচ্ছে।এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক সনদে নিজেকে সাজিয়া কবির,পিতা খালিদ মোঃ আকবর হোসেন লিখে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতি ছাড়াও নাম পরিবর্তন করে কো-অডিনেটর অফিসার হিসেবে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে নিয়োগ পেয়ে চাকুরী করে আসছে।সে যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে ১৯৯৫ সালে এস এসসি ও ১৯৯৮ইং সালে এইচ এসসি এবং ২০০১ইং সালে ডিগ্রী পাশ করেছে। তথ্য অনুযায়ী মাত্র ১২ বছর বয়সে এস.এসসি ও ১৮ বছরেই ডিগ্রি পাশ করেছে। সার্টিফিকেট ও জাতীয় পরিচয়পত্র এমনকি শিক্ষাগত সনদে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত একটি মার্কিন কোম্পানী বিবিয়ানায় নিয়োগের ঘটনায় হতবাক সুশীল সমাজ।জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা,শিক্ষা সনদ,জাতীয়তা সনদপত্র সহ জাল-জালিয়াতির তথ্যগুলো খতিয়ে দেখলে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য বেড়িয়ে আসবে।বিগত ২০১৫ সালে চাঁদাবাজি মামলায় এম এ আহমেদ আজাদ কারাগারে ছিল।উক্ত সালে ২৭ জানুয়ারিতে জামিনে মুক্তি লাভ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয় সে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক এমনকি তার ফেইসবুক প্রোফাইলেও ছিল।গত ১৫ এপ্রিল ২০২৩ সালে দৈনিক কলকাতা এক্সপ্রেসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বের হয়ে আসে ভূয়া।তারপর প্রোফাইল এডিট করে লিখেছে জাতীয় ভাবে স্থানীয় সরকার এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সাংবাদিক এবং তার স্ত্রী ২৫ জুলাই ২০২৩ সালে হবিগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকায় এক ধামাচাপা প্রতিবাদে প্রকাশ তার স্বামী স্থানীয় সরকার পুরষ্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক।সাংবাদিকতা নিয়েও স্বামী স্ত্রীর বিরোধী বক্তব্য।বিভিন্ন মহলের বিশ্লেষক গণ জানান,তাও রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণার সামিল।যে কোন অপরাধ প্রতিহিংসা বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।তা এক ধরনের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা!প্রকাশিত সাজিয়া কবির রুনার বিবৃতিতে রসালো আলোচনার জন্ম ও লায়লা নাম প্রতারণায় রেখেছেন জানায় বিভিন্ন সুত্র।।সংবাদ সাজাতে প্রমাণ হিসাবে পুরাতন ডকুমেন্টস ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি