ফরজুন আক্তার মনিঃ-(সম্পাদক ও প্রকাশক)নবীগঞ্জ উপজেলাধীন ইনাতগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ নির্মাণ কাজে শান্তি শৃঙ্খলা বঙ্গের আশংকার প্রতিরোধ চেয়ে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন মৃত ইব্রাহিম উল্যার পুত্র আশাহীদ আলী আশা(৪৬)।এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাতা সদস্যের পরিবারের সন্তান আশাহীদ আলী আশার সঙ্গে একটি চক্রের চলছে চুল ছেঁড়া বিরোধ।ইনাতগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ দাতা সদস্য পরিবারকে তিরস্কার করে এক লন্ডন প্রবাসী মহিলার নামে নামকরণ করেছে একটি গ্রুপ। তা নিয়ে আদালত পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছে আশাহীদ আলী আশা।অপর পক্ষ থেকে লড়াই করে যাচ্ছে আমিনুর রহমান গংরা।ভুক্তভোগী আশাহীদ আলী আশা হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করার পর নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,নবীগঞ্জ ফিল্ড সুপারভাইজার, ইসলামি ফাউন্ডেশন, তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পেয়ে আশাহীদ আলী আশার পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নং ৩৪১০/২০২২.মামলা ১৫/৩/২০২২ খ্রিস্টাব্দ আদেশ বাস্তবায়ন এবং সালেহা জামে মসজিদ বাংলাদেশ ওয়াকফ এস্টেট সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করেন।এই আদেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আশাহীদ আলী আশা সহ মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটশন দাখিল করেন আমিনুর রহমান। রীট পিটশন বিচারাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক এবং আদালতের অনুমতি ছাড়া দাপটে সংস্কারের নামে দুতলা ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আমিনুর রহমান গংরা। দাতা পরিবারের সদস্য আশাহীদ আলী আশা জানান শান্তি শৃঙ্খলা বঙ্গের আশংকার প্রতিরোধ চেয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিলের প্রেক্ষিতে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ কে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দান করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী। গত ১/১০/২৩ খ্রিস্টাব্দ ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই আবুবকর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করেন।পরের দিন ফাঁড়ির ইনচার্জ মুছলেহ উদ্দিন আহমেদ কাজ চালু রাখেন। এ বিষয়ে মুছলেহ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য নিতে চাইলে, তিনি জানান আমি এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দেব না,কাজ বন্ধ আছে। বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হবিগঞ্জ হিসাব নিরীক্ষক কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন জানান, আমাদের অফিস থেকে বা আদালত থেকে কোন অনুমতি ছাড়া কাজ করতে পারবে না। আমিনুর রহমান জানান সব আমাদের পক্ষে আছে, কাজ করাতে কোন সমস্যা নেই। এব্যাপারে আশাহীদ আলী আশা আরও বলেন যদি আমিনুর রহমান আদালতের প্রমাণ দিতে পারে তাহলে কাজ করতে বাধা নেই। আমার কাছে ১০০% ডকুমেন্টস আছে আমিনুর রহমান গংদের বিরুদ্ধে দুনীতি প্রমাণিত।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি