ফরজুন আক্তার মনি: – হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ৭নং করগাঁও ইউপি সদস্য মোঃ সাইদুর রহমান ঐ ইউপিতে কর্মরত।করগাঁ গ্রামের শিফা আক্তার সংবাদ সম্মেলন করে এ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্যে নানা অভিযোগ তুলেছেন।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক,গ্রামের মুরব্বিদের মধ্যে মুহিবুর রহমান চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী,নোমান চৌধুরী,রুমান মিয়া,সালাম মিয়া,সাদিক মিয়া,জিয়া মিয়া সহ আরও অনেক এবং সঙ্গে ছিল শিফা আক্তারের দুই কন্যা সন্তান।গতকাল ১৬ এপ্রিল তার নিজ গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
অভিযোগে বলা হয়-
আমি শিফা আক্তার পিতা: তকলিছ মিয়া,মোবাইল নং -০১৮২৩৩৯৮১৪২,এন আইডি নং- ১৯৯৬৩১৭৭৬৫০০০৩০৯,স্থায়ী : গ্রাম -করগাঁও, উপজেলা /থানা- নবীগঞ্জ, জেলা – হবিগঞ্জ একই গ্রামের মোঃ সাইদুর রহমান (৩৬),পিতা : মৃত আবুল হোসেন জোর পূর্বক আমাকে ধর্ষণ করিলে গত ১৫/৯/২২ ইং তারিখে নবীগঞ্জ থানায় আমি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০(সং/০৩)এর ৯(১) ধারায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করি, যাহার নবীগঞ্জ থানা নং -১২/২২ জিআর নং -১৯৫।উক্ত আসামি গত ১৭/১০/২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাহাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।তখন তাহার পরিবারের লোকজন গ্রামের মুরব্বিদের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসায় তাহাকে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি মাসে জামিনে কারামুক্ত করা হয়।জামিনে এসে এক সপ্তাহ পরে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে তিন মাসের মধ্যে স্ত্রী স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং সেই প্রেক্ষিতে আদালতে সাক্ষী না করিয়ে তাহাকে মামলা থেকে খালাস করা হয়। উল্লেখ্য তাহার হেন কুর্মের খবর শুনে আমার তিন বাচ্চা রেখে আমার স্বামী আমাকে ঐ সময় তালাক প্রদান করেন। মোঃ সাইদুর রহমান গ্রামের মুরব্বিদের সঙ্গে উক্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং আমাকে স্ত্রী স্বীকৃতি না দেওয়ায় আমি তিন বাচ্চা নিয়ে অসহায়ত্ব দুর্দিনে জীবনযাপন করছি।বর্তমানে আমি মামলা আপিল করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ায় সে আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে এবং আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি