নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
সাংবাদিক ফরজুন আক্তার মনি তার নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করে জানান,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে অসম্মান ও কটুক্তির প্রতিবাদ করায় তার জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।তাই মহলটির হাত থেকে জীবন বাঁচাতে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবিগঞ্জ -১ আসনের এমপি ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি চেয়েছেন।যা দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভি. কম এর পাঠকদের নিকট হুবহু তুলে ধরা হয়েছে-
গত ২০১৯ ইং সালের আগস্ট মাসের প্রথম দিকে নবীগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের অফিসে দেখেছিলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানো নেই।আমি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী টাঙানোর কথা বলেছিলাম,তিনি আমার প্রতি ক্ষেপে গিয়ে বলেছিলেন গত ৫ বছরও টাঙানো ছিলো না।কাহারো কিছু বলার সাহস হয়নি।তোমার এত সাহস হয় কি করে?দৈনিক সমকাল নবীগঞ্জ প্রতিনিধি এম আহমেদ আজাদ কে নিয়ে আমাকে অপমান করেছিল।অপমান করেও থামেনি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ও পরিবারের মানসম্মান ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল তারা ও তাদের গ্রুপ।আমি গত ২০১৯ ইং সালের ১৬ আগস্ট আমার ফেইসবুক Farjana Akhter Moni আইডিতে প্রতিবাদে তুলে ধরেছিলাম রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর বিষয়টি এবং ১৯৬১ সনের অডিয়েন্স রোল অনুযায়ী একজন ব্যক্তি সরকারি দুটো দপ্তরে দায়িত্ব পালন করা যায় না।যাহার পোস্ট লিংক https://m.facebook.com/story,php?story fbid=706141533163411&id=100013027118007।এই ফেইসবুক আইডি থানায় এখনও জব্দ আছে এবং আমার এই ফেইসবুক আইডি হ্যাকও করেছিল, তার জিডিও থানায় আছে।আমি কোনো ভাবে কারো সহযোগিতা পাইনি।তারপরও ক্ষিপ্ত হয়ে এম এ আহমদ আজাদ তার নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে ২০১৯ইং সালের ২৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ আওয়ামিলীগ এর শীর্ষ নেতাদের কটুক্তি করে পোস্ট দেয়।আমি তার লেখা স্কীনশট দিয়ে ২০১৯ ইং সালের ২৯ আগস্ট আমার নজরে আসলে প্রতিবাদ জানাই।যাহার পোস্ট লিংক https://m.facebook.com/story.php?story fbid=713750812402483&id=100013027118007।
তারা আজও আইনের আওতায় আসেনি।আইনের বাহির থেকে আমাকে নিয়মিত হামলা মামলা নির্যাতন এখনও করে যাচ্ছে।তখন সময় আমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিই করেনি।নাজমা বেগম আমাকে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছিল।নবীগঞ্জ থানা কে অবগত করিলে তখন বলেছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আপা আপনার সাথে মজা করছেন।আমি নিরুপায় হয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে একটি মানহানীর মামলা দায়ের করেছিলাম।যাহার সিআর নং ৪৪২/১৯। মামলার খবর পেয়ে আমাকে মেরে ফেলার জন্য তাদের বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠে।বিষয়টি নবীগঞ্জ থানাকে জানাতে আসিলে,ঐ দিনই থানাতেই বসিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্রমুলক নাটক সাজিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে পাঠানো হয়।এই মামলার জামিন করাতে ২ লাখেরও বেশি টাকা খরচ হয়।আমার ভাই বাড়ি বিক্রি করে জামিন করিয়ে আনেন।জামিনে আসার পর আমার কাজে যোগ দিয়ে আমি সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আউশকান্দি অরবিট ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে দিবালোকে আমাকে নির্যাতন করা হয়।যাহার নবীগঞ্জ থানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা নং ৫/২০ইং।তাদের প্রভাবের শক্তির কারণে আসামি গণ কে থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।বরং জনসম্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।কেউ মামলার সাক্ষী দিলে সাক্ষী কেও বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়।শুধু তাই নয় ততকালীন বানিয়াচং উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ আলম হবিগঞ্জের সাংবাদিক দের বিরুদ্ধে একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের কৃত মামলাতে আমার নামও যুক্ত করা হয় এবং ধারাবাহিক প্রাণনাশের হুমকি ধামকি চলমান।নবীগঞ্জ থানায় কয়েকটি জিডিও আছে।গত ২০২১ ইং সালের জুন মাসে একটি নিউজ করেছিলাম ২০২১ সনের নীতিমালায়ও আসছে একজন ব্যক্তি দুটো দপ্তরে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না,ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম নবীগঞ্জ সরকারি কলেজে পদ সৃজনের তালিকায় নিজের নামের তালিকাও দিয়েছেন,এবং সাতটাই হাল গ্রামের কয়েকটি প্রতিবেদন।এরই মধ্যে আমার নামে আরো দুটো গজব তৈরি করা হয়।আমার নামে গত ভুয়া ডকুমেন্টস তৈরী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।সেই ডকুমেন্টস দিয়ে আবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুজন আজাদ ও মুজিব নামীয় আমার বিরুদ্ধে দুটো মামলার অর্ডার করিয়া আনেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।আমি জানতে পেরে লিখিত ভাবে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে অবগত ও প্রতিরোধের আবেদন করেছি।তাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে সড়ক দুর্ঘটনা দেখিয়ে মেরে ফেলতে বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে।গত ২০২১ সনের জুন মাসের শেষের দিকে একদিন ও জুলাই মাসের শেষের দিকে একদিন দুটো মোটর সাইকেল আমার উপর উঠানোর চেষ্টা করেছিল।আমি তাদেরকে চিনতে পারিনি।০৫/০৮/২১ই তারিখে বিশ্ব রোডে আজাদ ও মুজিব আমার উপর বাইক উঠানোর চেষ্টা করে।আবার গত ঈদের দুদিন আগে ১৯ জুলাই ২০২১ইং তারিখে বিকাল ৪টার দিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের স্বামী সুয়েব চৌধুরী আমার উপর দিয়ে মোটরসাইকেল উঠানোর চেষ্টা করলে,আমি নবীগঞ্জ চৌদ্দ হাজারী মার্কেটের ভিতরে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পাই।এই ঘটনাটি আমার আত্মীয় স্বজন কাউকে না জানিয়ে ভিতরে রাখতে রাখতে বুকে ও মাথার ব্যথা নিয়ে ভুগিতেছি।সুয়েব চৌধুরীর উপর গত বছর আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি সহ নবীগঞ্জ থানায় একটা জিডিও করেছিলাম।যাহার নং ১৩৩৬/২০ ইং।আমার মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা গণ বাংলাদেশ পিবিআই হবিগঞ্জ কেও বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়েছে।তাহলে কি প্রভাবশালীদের জন্য ঢাকার চিনি খাবলা খাবলা!! তারা যখন যাকে ইচ্ছা রাস্তায় পশু পাখির মতো মেরে ফেলবে?!!!আবার একই ঘটনা দিয়ে জীবন ভর মামলা করে মানুষ কে হয়রানি করবে?!!কয়দিন পরপর ষড়যন্ত্র মুুুুলক নাটক সাজিয়ে আমাকে গত গ্রেফতারের ছবি দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে আমার ও আমার পরিবারের মানসম্মান ধুলোর সাথে মিশাবে ও মানসিক নির্যাতন করবে!!! আবার ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে একাই সরকারি দুটো দপ্তরে দায়িত্ব পালন করবে?এতে আমার মনে হচ্ছে তাদের নিকট দেশটা মগের মুল্লুক।আবার বড় বড় অফিসার ও আওয়ামিলীগ এর নেতাদের সাথে দাপটে চলাফেরার ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে এক ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।আমি অসহায় নিরীহ মধ্যবৃত্ত পরিবারের একজন এতিম সন্তান।আমি নিরুপায় হয়ে আমার জীবন তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবিগঞ্জ -১ আসনের মাননীয় এমপি ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
বিনীত
ফরজুন আক্তার মনি
সভাপতি
ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা শাখা।
সাবেক সভাপতি
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখা।
সাধারণ সম্পাদক
নবীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব
সম্পাদক ও প্রকাশক
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভি. কম।
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
দৈনিক গণমুক্তি
স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক বিবিয়ানা ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি