ফরজুন আক্তার মনি :-হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় একই ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।ওই ব্যক্তির নাম নাজমা বেগম। তিনি পৌর সদরের নবীগঞ্জ সরকারি কলেজে কম্পিউটার ডেমনষ্টেটর (কাম মেকানিক) হিসেবে ১৯৯৯ সাল থেকে চাকরিতে যোগদান করছেন। এ ছাড়া তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ২০১৪ সাল থেকে দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছিলেন।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এমপিও নীতিমালার ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির জন্য শিক্ষক/কর্মচারীরা একই সঙ্গে একাধিক স্থানে চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারেন না।নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের সদ্য যোগদান কৃত অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমান বলেন,আমি কলেজে যোগদান করার পর জানতে পারলাম, নাজমা বেগম বহু বছর যাবৎ কলেজে কাজ না করেই সে স্বপদে বহাল রয়েছে। এছাড়াও সে পদ ত্যাগ না করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।এ বিষয়ে নাজমা বেগম কে জবাবদিহি করার জন্য যোগাযোগ করলে, তিনি নির্দিষ্ট তারিখ ধার্য্য করেও আসেনি।তাঁদের প্রতিষ্ঠানের আয়ন-ব্যয়ন, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা উত্তোলন না করলেও একাউন্টে বেতন -ভাতাদি জমা হচ্ছে।এছাড়াও সে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কলেজ থেকে বেতন উত্তোলনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যম কে নাজমা বেগম জানিয়েছে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজে বেতন -ভাতা না নিয়ে সেবা মূলক মানবিক কাজ করেছে।এ বিষয়ে ২৩ মে,২০২২ সালে জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের শিক্ষা কল্যাণ শাখার অধীনে ঝুলে থাকতে দেখা গেছে।এ বিষয়ে শিক্ষা কল্যাণ শাখার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাদিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করিলে, তিনি জানিয়েছিলেন আমাদের অফিসে এমন কোন অভিযোগ আসেনি।নতুন করে কোন অভিযোগ আসলে তা খতিয়ে দেখব। নবীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুসরাত ফেরদৌসী জানিয়েছিলেন এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।প্রতিবেদনে দেখা যায় নাজমা বেগম একাধিক বার সময় চেয়েও কোন ডকুমেন্টস দাখিল করিতে পারেননি।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানা যায়,শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জারি করা এমপিও নীতিমালার ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির জন্য শিক্ষক / কর্মচারিরা একই সঙ্গে একাধিক স্থানে চাকুরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোন পদে নিয়োজিত থাকতে পারে না।সুশীল সমাজ জানান,নাজমা বেগমের শ্বশুর ও মামার গোষ্ঠী প্রভাবশালী,তাই দাপটে দুই পদে সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন।এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারি পদ সৃজন হয়ে স্ব স্ব পদে যোগদান করার চিঠি আসিলে নাজমা বেগম নিয়ম মেনে যোগদান করিতে ব্যর্থ হয়ে ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চরমভাবে পরাজিত হয়েছে।জানা যায়,পরাজিত হয়েও তিনি ক্ষান্ত হয়নি,নবীগঞ্জ সরকারি কলেজে চাকরিতে যোগদান করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।বিশাল এই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার সাহস করার মতো লোকের বড়ই অভাব।সাংবাদিকরা হামলা মামলা ও প্রাণের ভয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি